বাঙালীর পাতে এবার বাংলার নতুন ইলিশ : মনিপুরী ইলিশ ঘিরে উৎসাহ বাড়ছে

23rd September 2020 12:25 pm হুগলী
বাঙালীর পাতে এবার বাংলার নতুন ইলিশ : মনিপুরী ইলিশ ঘিরে উৎসাহ বাড়ছে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : বাঙালি খেতে ভালবাসে।খাওয়ার পাতে যদি পরে ইলিশ তাহলে খাওয়ার মজাটাই আলাদা হয়ে যায়। আমবাঙালি পাতে ইলিশ মাছের স্বাদ দিতে পেঙবা বা মনিপুরী ইলেশের চাষ শুরু হচ্ছে এরাজ্যেও। হুগলীর পোলবার রাজহাটে অমিত হাজরার নিয়ে আসে এই নতুন ধরনের মাছ। তা দেখে উৎসাহী হয় চাষীরা। বছর দুয়েক আগে অমিত বাবু হাওড়ায় রঙিন মাছের চাষ দেখে নিজে সেই মাছ চাষ শুরু করেন ।তবে অভিজ্ঞতা না থাকায় মাছ চাষে সাফল্য পাননি । পরে  নেতাজি মুক্ত বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুন করে মাছ চাষ শুরু করেন তিনি ।তাঁর সদিচ্ছা দেখে জেলা মৎস দপ্তর প্রযুক্তিগত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।দশটি চৌবাচ্চা করে তাতে রঙিন মাছ চাষের পাশাপাশি সিঙি, মাগুর, কই, ট্যাংরা চাষ শুরু করেন। বাংলার পুকুরে রুই, কাৎলা, মৃগেল চাষ হয় বহুদিন ধরে । হাইব্রিড প্রযুক্তি আসার পর সিলভারকাপ,গ্লাসকাপ,ব্রিগেডকাপ,লাইলনটিকা,আমেরিকান রুই,হাইব্রিড মাগুর,ভিয়েতনামী কই এর চাষ হচ্ছে গ্রাম বাংলা জুরে। তবে এর কোনটাই খেতে তেমন সুস্বাদু না। স্বাদে গন্ধে ভালো এমন নতুন মাছের খোঁজে জেলা প্রশাসনের সাহায্যে বছর দুয়েক আগে উড়িষ্যা থেকে পেংবার পোনা নিয়ে আসেন অমিত । মৎস‍্য‍  দপ্তরের সাহায্যে শুরু হয় ব্রিডিং।সফলতার সঙ্গে ডিম ফুটিয়ে মনিপুরী ইলিশের চারা তৈরী করেন।পুকুরে রুই কাৎলার সঙ্গে মিশ্র চাষ করা যায় পোংবার ।ভাল চাহিদা তৈরী হয়েছে ইতিমধ্যেই তাই উৎসাহী চাষীরা পোংবা সংগ্রহ করে চাষ শুরু করেছেন।বছরে শুধু পেংবা মাছ চাষ করলে সাতশো থেকে আটশো  গ্রাম ওজনের হয়ে যায় এই মাছ মনিপুরী ইলিশ বা পেংবা।ইলিশ না অথচ স্বাদে গন্ধে অনেকটা ইলিশের মত খেতে এমনটাই দাবি করছেন তিনি। খুব তারাতারি বাঙালির পাতে পরতে চলেছে মনিপুরী ইলিশ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।